আজকে এক কেজি চিনির দাম:ডলার সংকট এর কারনে দেশে চিনি আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না । যার ফলে হুড়মুড় করে চিনির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে । সাধারণ মানুষ খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছে । দেশের জালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে চিনির দাম আকাশচুম্বী বেড়ে গেছে । আজকের এই পোস্টে আমরা জানতে পারব – আজকে চিনির দাম কত, ১ কেজি চিনির দাম কত, ফ্রেশ চিনির দাম কত, সাদা চিনির দাম কত, লাল চিনির দাম কত ইত্যাদি ।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মধ্যে চিনির দাম বেড়েছে ব্যাপকভাবে। বর্তমান ১ কেজি চিনির দাম, ১ কেজি খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১ কেজি চিনি ১৩০ টাকা । তাবে অনেক জাইগয়া আর বেশি দামে চিনি ব্রিক্রি হচ্ছে । ব্যবসায়ীরা নানান অজুহাতে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করছে চিনি । চলুন দেখে আসি আজকের চিনির দাম কত ২০২৪, কেজি চিনির দাম কত।
বর্তমানে ডলার এর মূল্য বৃদ্ধি পাওইয়ার কারনে চিনির দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।বর্তমান বাজারে এখন চিনির দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে । ২ মাস আগেও যেখানে এক কেজি চিনির দাম ছিল বড়জোর ৯৫ টাকার আশেপাশে । এখন চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় প্রতি কেজি। এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা ।
আজকে চিনির দাম কত ২০২৪
বাংলাদেশে চিনির চাহিদা অনেক, দুঃখের বিষয় এটি যে চিনির জন্য আমাদের অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল , দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে চিনি দেশে আমদানি করা হয় । আমদানি করার জন্য ডলার দিয়ে মূল্য পরিশোধ করা হয় । আর এই ডলার এর দাম বৃদ্ধি পেলে চিনির দাম ও বেড়ে যায় । প্রতি বছর বাংলাদেশে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন চিনি প্রয়োজন হয়, যার এক বারে সব বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় । চিনির দাম বাড়ার পিছনে অনেক গুলো কারন রয়েছে । চিনি ব্যবসায়ীরা পরিকল্পনা করে দেশের আমদানিকৃত সকল চিনি আটকে রেখে দেশের মধ্যে সংকটের সৃষ্টি করে । আর চাহিদা থাকলে দাম এমনিই বেড়ে যায় । চিনির এই সংকট কাজে লাগিয়ে চিনির দাম অত্তাধিক হারে বৃদ্ধি করে ফেলে । এখন বর্তমানে প্রতি কেজি চিনির দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।
বর্তমানে প্রতি কেজি চিনির দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকা |
খোলা চিনির দাম কত
গ্রামে খোলা চিনির চাহিদা একটু বেশি, নিম্ন আয়ের মানুষরা খোলা চিনি কিনে থাকে । ১ কেজি খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা । পূর্বে সরকার সরকার ঘোষিত প্রতি কেজি দাম ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা । কিন্তু বর্তমানে চিনির দাম প্রতি কেজিতে 10 থেকে 15 টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে ।
লাল চিনির দাম কত
দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে ৩০ হাজার টন চিনি উৎপাদিত হয়। অতিরিক্ত চিনি আমদানি করা হয়। বর্তমান বাজারে সাদা চিনি,সাদা চিনি, লাল চিনি ,ফ্রেশ চিনি প্রায় একই দামে বিক্রি হয়। তবে সাদা চিনির চেয়ে লাল চিনিতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং এর পুষ্টিগুণও বেশি। সাদা চিনির চেয়ে লাল চিনির দাম কিছুটা বেশি।যেহেতু দেশে চিনি আমদানি করা হয়, অসাধু ব্যবসায়ীরা নানাভাবে চিনির দাম বাড়িয়ে দেয়।
আবার গত বছরের নভেম্বরে লাল চিনির দাম ছিল ৮৫ টাকা, পরে চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ১৪ টাকা। এক মাসে চিনির দাম বেড়েছে ২০.৮৮ শতাংশ। বাড়িতে বিক্রি হওয়া লাল চিনির প্যাকেজ বাজারে প্রতি কেজি ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও আজ সারাদেশের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।ক্রেতাদের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
একইভাবে, গত বছরের নভেম্বরে ব্রাউন সুগারের দাম 85 টাকা হলেও , চিনির দাম 14 টাকা বেড়েছে। এক মাসে চিনির দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। দেশীয় বাজারে এক বস্তা লাল চিনির প্রতি কেজি ১৩০-১৩৫ টাকা হলেও এখন সারা দেশের বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।
সাদা চিনির দাম কত
বাজারে বর্তমানে সব পণ্যের দাম সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বস্তির কোনো লক্ষণ নেই। ব্যবসায়ীরা পণ্য মজুদ করছে, যার ফলে দেশে চিনির ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং তাদের ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করছে । এমনকি পণ্য পাওয়া গেলেও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
কিছু অনৈতিক ব্যবসায়ীরা তাদের মূল্যবৃদ্ধির কারন হিসেবে ডলারের ঊর্ধ্বগতির মতো নানা অজুহাত দিচ্ছে । বিশেষ করে চিনি আগের নির্ধারিত দাম না মেনে স্ফীত দামে বিক্রি হচ্ছে। নভেম্বর থেকে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১০২ টাকায় এবং প্যাকেট জাতটি ১০৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। তবে, সাদা চিনি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকায় এবং প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজিতে।
বাংলাদেশে, ব্যবসায়ী, মিল মালিক এবং ডিলাররা পরিবহন খরচ পরিশোধের পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে চিনি কিনছেন বলে জানা গেছে। ফলে কিছু ব্যবসায়ী সাময়িকভাবে চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। কারণ সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি করলে তাদের জরিমানা হতে পারে।
এক বস্তা ৫০ কেজি : ৫৩৩০ টাকা খোলা চিনি ১ কেজি : ১২০ টাকা প্যাকেটজাত চিনি : ১০২ টাকা |
দেশের চিনির বাজারে সিটি, মেঘনা, এস আলম, দেশবন্ধু এবং আবদুল মোনেম লিমিটেড নামে মাত্র পাঁচটি কোম্পানির আধিপত্য রয়েছে। এসব কোম্পানি কাঁচা চিনি আমদানি করে, যা বাজারজাত করার আগে তাদের কারখানায় পরিশোধন করা হয়। অন্যদিকে, খাদ্য প্রস্তুতকারীরা সরাসরি পরিশোধিত চিনি আমদানি করতে পছন্দ করে। এক বছরে দেশে প্রায় ২০ লাখ টন চিনি আমদানি হয়, যেখানে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হয় মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টন। ফলে চিনির বাজার অনেকটা আমদানির ওপর নির্ভরশীল।
পরিশেষ
আজকে এক কেজি চিনি সহ ফ্রেশ চিনির দাম , সাদা চিনির দাম , লাল চিনির দাম সম্পর্কে আপনাদের সঠিক ধারনা দেয়ার চেস্টা করেছি । বিভিন্ন সোর্স থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি । আশা করি আপনারা সঠিক চিনির সঠিক দাম জানতে পেরেছেন । প্রতিদিনের দরকারি জিনিস পত্রের দাম জানার জন্য আমাদের সাথে থাকুন ।
আরও পড়ুনঃ
বর্তমানে এক মন ধানের দাম । আজকে ধানের দাম কত
আজকের এলপিজি গ্যাসের দাম কত? । সিলিন্ডার গ্যাসের এর দাম
আজকে ব্রয়লার মুরগির দাম কত । এক কেজি ব্রয়লার মুরগির বাজার দাম