সয়াবিন তেলের দাম: সম্প্রতি বাংলাদেশে বোতলজাত সয়াবিন তেলের মূল্য বেড়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম এখন কিছুটা কমেছে। যেখানে আগে ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৯০ টাকা তা বর্তমানে ১৬০-১৭০ টাকা । একইভাবে, ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও আগের দাম থেকেকিছুটা কমেছে। আগে ছিল ৯০৬ টাকা। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বেড়েছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৭৬ টাকা, যেখানে আগে বিক্রি হতো ১৬৭ টাকা। খোলা পাম তেল এখন বিক্রি হবে প্রতি লিটার ১৩৫ টাকায়।
সয়াবিন তেল অন্যতম সামগ্রী যারা প্রয়োজন প্রতিদিন হয়ে থাকে । সম্প্রতি বাংলাদেশে সকল পণ্যের দাম এক লাফ দিয়ে বেড়ে গেছে । সম্প্রতি প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। সয়াবিন তেল (লুজ) বর্তমানে প্রতি লিটার ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যেখানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় । যেখানে কিছু দিন আগে লুজ সয়াবিন ১৬৭ টাকা থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হতো, তাতে বর্তমানে ৫ – ১০ টাকা কমেছে ।
আজকের তেলের বাজার দাম
তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারন রয়েছে । যার মধ্যে ডলার এর দাম বৃদ্ধি, ডলার এর তুলনায় বাংলাদেশি টাকা কম মূল্য । বর্তমানে তেলের দাম স্থির রয়েছে । তবে বাংলাদশের কিছু কিছু স্থানে দাম কিছুটা কম বেশি দেখা যায় । বাংলাদেশ থেকে উৎপাদিত তেল দিয়ে মোট চাহিদা পূরণ সম্ভব যায় না। ফলে প্রতি মাসে অন্য দেশ থেকে অতিরিক্ত তেল আমদানি করতে হয়। বর্তমানে অনেক জিনিসের দাম বেড়েছে ।
এক কেজি সয়াবিন তেলের দাম
আপনাদের মধ্যে অনেকে, এক কেজি সয়াবিন তেলের দাম লিখে অনলাইন এ সার্চ করে থাকবেন । আমারা আপনাদের সঠিক তেলের দাম জানানোর চেস্থা করব । ২০২৩ সালের শুরু থেকেই তেলের দাম তুলনামূলক বেশি ছিল ২০ টাকা বাড়লে ৫ টাকা কমানো হয়েছে ।
এক লিটার লুজ সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা। আগে যার দাম ছিল ১৭৫ টাকা । এক মাস আগেও দাম ছিল ১৭২ থেকে ১৮৫ টাকা। এক বছর আগেও তেলের দাম ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। প্রতি বোতলের সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩ টাকা। এক লিটার সয়াবিন বোতলের দাম ১৯০ টাকা, যা এক মাস আগে ছিল ১৮৫ টাকা । এক মাসেই তেলের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। এখানে লুজ এবং প্যাকেজ করা সয়াবিনের জন্য আরও কিছু মূল্য রয়েছে।
সয়াবিন তেল (বোতল) ২ লিটার ৩৮৫ থেকে ৪০০ টাকা। |
সয়াবিন তেল (বোতল) ৫ লিটার ৮৮০ থেকে ৯৬০ টাকা। |
পাম অয়েল (লুজ) প্রতি লিটার ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা। |
পাম অয়েল সুপার প্রতি লিটার ১৮০ থেকে ১৫০ টাকা। |
বিদ্রঃবাংলাদেশের সকল স্থনে এক রকম দাম থাকে না । দোকানদাররা একটু বেশি দাম রাখে তাই আমরা যে দাম দেয়েছি কিছুতা কম বেশি হতে পারে ।
আজকের পাম তেলের দাম
পাম তেল হল এক ধরনের ভোজ্য তেল যা তেল পাম গাছের ফল থেকে পাওয়া যায়। এটি সাধারণত খাদ্য পণ্যে ব্যবহৃত হয়, যেমন বেকড পণ্য, স্ন্যাকস এবং মার্জারিন, সেইসাথে সাবান এবং ডিটারজেন্টের মতো অ-খাদ্য পণ্যগুলিতে। পাম তেল একটি বহুমুখী এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা তেল, সয়াবিনের থেকে পাম তেলের দাম অনেক কম ।
এক লিটার পাম তেলের বর্তমান দাম ১৩৫ টাকা, আর ৫ লিটার পাম তেল কিনলে দাম পড়বে ৬৭৫ টাকা। পাম তেলের দাম কিছুটা কমে ছিল কিন্তু সম্প্রতি সয়াবিনের দাম বেড়েছে। এক মাস আগে পাম তেলের দাম ছিল ১৪৫ টাকা, বর্তমানে এক মাসের পাম তেল ১৩৫ টাকায় কিনতে পারবেন। এছাড়া ৫ কেজি পাম তেলে ১০০ টাকা ছাড় রয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম ২০২৪
জ্বালানী তেল যন্ত্রপাতি এবং যানবাহন চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। কিছু সাধারণ জ্বালানী তেলের মধ্যে রয়েছে কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রল (পেট্রোল নামেও পরিচিত)। এই জ্বালানিগুলি সাধারণত অপরিশোধিত তেল থেকে প্রাপ্ত হয়। জ্বালানী তেল পরিবহন, কৃষি এবং উত্পাদন সহ অনেক শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । বাংলাদেশে বর্তমানে বৈধভাবে জ্বালানি তেল আমদানি ও বিক্রি হচ্ছে, তবে গত কয়েক মাস ধরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্থিতিশীল রয়েছে। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো জ্বালানি তেল খাতে ভর্তুকি কমাতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে, ব্রেন্ট অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৯০ ডলারের নিচে নেমে গেছে। পূর্ববর্তী বিশ্ব বাজারে, ব্রেন্ট অশোধিত তেলের এক ব্যারেলের দাম ছিল $৮৮, এবং WTI অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল $৮১। বাংলাদেশের বাজারে জ্বালানি তেলের একটি নির্দিষ্ট মূল্য তালিকা রয়েছে।
- ১ লিটার ডিজেল ১০৯.০০ টাকা
- ১ লিটার কেরোসিন ১০৯.০০ টাকা
- ১ লিটার অকটেন ১৩০.০০ টাকা
- ১ লিটার পেট্রোল ১২৫.০০ টাকা
কেরোসিন তেলের দাম
কেরোসিন তেল, প্যারাফিন নামেও পরিচিত, এটি এক ধরনের দাহ্য তরল জ্বালানী যা সাধারণত ল্যাম্প, হিটার এবং চুলায় ব্যবহৃত হয়। এটি পেট্রোলিয়াম থেকে উদ্ভূত এবং সাধারণত পরিষ্কার বা ফ্যাকাশে হলুদ রঙের হয়। বিশেষ করে এমন এলাকায় যেখানে বিদ্যুৎ বা প্রাকৃতিক গ্যাস নেই সেখানে কেরোসিন তেলের চাহিদা রয়েছে । কেরোসিন তেলের ব্যবহার অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির সাথে জড়িত । কেরোসিন তেলের দাম ৪২ শতাংশ বেড়েছে, যার বর্তমান বিক্রয় মূল্য প্রতি লিটার ১১৪ টাকা এবং ৫ লিটারের জন্য ৫৭০ টাকা। কেরোসিন তেলের প্রতি লিটার দাম আগে ১০৫ টাকা হলেও বেড়েছে ৯ টাকা এবং ৫ লিটারে বেড়েছে ৪৫ টাকা। তবে যেকোম্নো সম এই কেরোসিনের দাম বেড়ে যেতে পারে।
প্রতি লিটার ১১৪ টাকা করে কেরোসিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে। ৫ লিটার কেরোসিনের দাম ৫৭০ টাকা।
- ১ লিটার কেরোসিন তেলের দাম ১১৪ টাকা
- ৫ লিটার কেরোসিন তেলের দাম ৫৭০ টাকা
সরিষার তেলের দাম
বাজারে আলাদা আলাদা কম্পানির সরিষার তেল পাওয়া যায় । এদের দামের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য দেখা যায় । খোলা সরিষা তেলের দাম এর অরজিনাল সরিষার তেলের দামের মধ্যে অনেক তফাৎ দেখা যায় । বাজারে সরিষার তেলের বিভিন্ন দাম রয়েছে। ১ কেজি সরিষার তেলের দাম ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, আর ১ লিটার আসল সরিষার তেলের দাম ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা। রাধুনি খাতি সরিষার তেলের বর্তমান বাজার মূল্য ২৫০ মিলি প্রতি ৬৫ টাকা।
পরিশেষ
তেলের দাম বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে যেমন ব্র্যান্ড, পরিমাণ এবং গুণমান । আমরা এই পোস্ট এ তেলের মূল্য যতটা সম্ভব সঠিক ভাবে উপস্থাপন করার চেস্থা করেছি । আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে । বাংলাদেশের সব স্থানে তেলের দাম এক নয় অল্প কম বেশি হতে পারে। এই পোস্ট খুবি সূক্ষ্ম ভাবে আজকে তেলের মূল্য কত? তা দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন এর বাজার দাম সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথে থাকুন।
সরিষার তেল কি?
সরিষার তেল হল এক ধরনের উদ্ভিজ্জ তেল যা সরিষার বীজ থেকে বের করা হয়।
সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ কত?
সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের একটি সমৃদ্ধ উত্স, যা স্বাস্থ্যকর চর্বি হিসাবে বিবেচিত হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড।
সরিষার তেল ব্যবহারের উপকারিতা কি কি?
সরিষার তেলে হৃদরোগের উন্নতি, প্রদাহ কমানো এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি সহ বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলেও বিশ্বাস করা হয়।
রান্নায় কীভাবে সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়?
সরিষার তেল সাধারণত ভারতীয় এবং বাংলাদেশী খাবারে রান্নার তেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেইসাথে আচার ও স্বাদযুক্ত খাবারের জন্যও ব্যবহৃত হয়।
সরিষার তেল ব্যবহারের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি?
কিছু লোকের সরিষার তেলে অ্যালার্জি হতে পারে এবং ত্বকে জ্বালা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সরিষার তেলে ইউরিকিক অ্যাসিড থাকে, যা প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকারক হতে পারে। যাইহোক, বেশিরভাগ বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ সরিষার তেলগুলিকে নিরাপদ পরিমাণে ইউরিকিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে প্রক্রিয়া করা হয়েছে।
আপনি কোথায় সরিষার তেল কিনতে পারি?
সরিষার তেল মুদি দোকানে এবং অনলাইন খুচরা বিক্রেতাদের পাশাপাশি ভারতীয় এবং বাংলাদেশী খাবারের জন্য বিশেষ খাবারের দোকানে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়।