ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত । ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার নিয়ম – বর্তমান সময় EassyLoad বা ফ্লেক্সিলোড সম্পর্কে আমারা কমবেশি সবাই জানি।আপনাদের মধ্যে অনেকে চাচ্ছেন ফ্লেক্সিলোড ব্যাবসা শুরু করতে, যারা নতুন তাদের অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।যদি আপনি এগুলো না জানেন তাহলে আপনি ফ্লেক্সিলোড ব্যাবসা সঠিক ভাবে করতে পারবেন নাহ। তো আপানদের ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত । ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার নিয়ম জানতে আজকের পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
এক কথায় ফ্লেক্সিলোড সিম নিতে কোন টাকা লাগে না।অনেক প্রশ্ন করতে পারেন, আপনি কিভাবে জানেন ? আসলে আমি পুরো বিষয় তা আপনাদের খুলে বলছি।আপনারা বিকাশ বা নগদ এজন্ট সম্পর্কে জানেন তারা ফ্লেক্সিলোড সিমের বিষয় তা কিছুটা হলেও বুজেন।তবে আশা করি আজকের এই পোস্টি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ফ্লেক্সিলোড এর নাড়িনক্ষত্র জানতে পারবেন।
ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত
আপনাদের বাজারে অবশ্যই ফ্লেক্সিলোডের দোকান আছে।যেখান থেকে আপনি আপনার সিমে টাকা রিচার্জ করতে পারেন।এখন কথা হচ্ছে আপনি যদি তাদের মত ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করতে চান তাহলে ফ্লেক্সিলোড কিভাবে পাবেন, এবং এর দাম কেমন হবে? আমি আপনাদের সকল প্রশ্নের জবাব দিব আজকের এই পোস্টে।
ফ্লেক্সিলোড সিম সাধারণ সাধারণ সিম থেকে আলাদা।একটি সাধারণ সিমের দাম যেখানে ১০০-২০০ টাকা সর্বোচ্চ, সেখানে ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত হতে পারে।আসলে ফ্লেক্সিলোড সিমের নির্ভর করে আপনার স্থান এর ওপর।অনেক বলে থাকেন ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম ৫০০০-৬০০০ টাকা, আসিলে এটি সঠিক নাহ।আমি নিজেও ফ্লেক্সিলোড ব্যাবসার সাথে জড়িত।আমার অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের জানাব।
মোট ৬ টির মত অপারেটর আছে, আলাদা আলাদা সিমের জন্য আলাদা আলাদা খরচ।আমরা আলাদা আলদা ভাবে আপনাদের দাম সম্পর্কে জানাব।
জিপি ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম । জিপি ইজিলোড সিমের দাম –
জিপি সিম বাংলাদেশ বেশ পুরনো সিম, যার দরুন এর গ্রাহক অনেক বেশি।জিপি ফ্লেক্সিলোড সিম অন্যান্য সিমের মত ব্রিক্রি হয় না।আপনাকে জিপি সিমের SR এর সাথে কথা বলতে হবে।যিনি আপনাকে সঠিক তথ্য দিবে।জিপি ফ্লেক্সিলোড সিমের নির্ধারিত কোন মূল্য নেই তবে আপনাকে ৫০০-১০০০ টাকার মত খরচ করতে হতে পারে।কারন আপনার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে SR আপনার ইজিলোড সিম করে দিবে। তাতে আপনার জিপি ইজিলোড সিমের দাম ১০০০ টাকার মোট খরচ হতে পারে।আমি যখন জিপি ফ্লেক্সিলোড সিম নেই তাতে আমার ৩০০ টাকা শুরু খরচ পড়েছে।শুরু সিমের দাম টা আমি দিয়েছি।বাকি কাজ SR করে দিয়েছে।আসলে একটি ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সিমে রুপান্তর করার আগে সেটি একটি সাধারণ সিমি থাকে।সে সাধারণ সিমকে SR ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সিমে রুপান্তর করে দেয়।
বাংলালিংক ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম । বাংলালিংক ইজিলোড সিমের দাম –
গ্রাহক এর দিক দিয়ে বাংলালিংক সিম দেশের অন্যতম সিম।আপনি যদি বাংলালিংক সিমের ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু জিনিস আনুসরন করেত হবে।যার মধ্যে অন্নতম হল আপনার একটি দোকান থাকতে হবে।জিপি সিমের মত বাংলালিংক ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড নিতে আপনাকে শুরুতে বাংলালিংক SR এর সাথে কথা বলতে হবে।যিনি আপনাকে সঠিক তথ্য দিবে।আসলে ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সিম গুলো সাধারণ সিমের মত দোকানে দোকানে ব্রিক্রি হয় না।একটি সাধারণ সিমকে ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সিম করে নিতে হয়।বাংলালিংক ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম স্থান ভেদে আলাদা আলদা হতে পারে, আমার বাংলালিংক ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সিম নিতে ৪০০ টাকার মত খরচ হয়েছিল।
রবি ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম । রবি ইজিলোড সিমের দাম –
রবি ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সিম নিতে আপানার আপনি যদি রবি সিমের ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু জিনিস আনুসরন করেত হবে।যার মধ্যে অন্নতম হল আপনার একটি দোকান থাকতে হবে। অন্য সিমের মত রবি ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড নিতে আপনাকে শুরুতে রবি SR এর সাথে কথা বলতে হবে।যিনি আপনাকে সঠিক তথ্য দিবে।আসলে ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সিম গুলো সাধারণ সিমের মত দোকানে দোকানে ব্রিক্রি হয় না।একটি সাধারণ সিমকে ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সিম করে নিতে হয়।বাংলালিংক ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম স্থান ভেদে আলাদা আলদা হতে পারে, আমার বাংলালিংক ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সিম নিতে ৪০০ টাকার মত খরচ হয়েছিল।
এয়ারটেল ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম । এয়ারটেল ইজিলোড সিমের দাম –
এয়ারটেল ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সিম নিতে আপানার আপনি যদি এয়ারটেল সিমের ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই একটি দোকান থাকতে হবে। অন্য সিমের মত রবি ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড নিতে আপনাকে শুরুতে রবি SR এর সাথে কথা বলতে হবে।যিনি আপনাকে সঠিক তথ্য দিবে।আসলে ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সিম গুলো সাধারণ সিমের মত দোকানে দোকানে ব্রিক্রি হয় না।একটি সাধারণ সিমকে ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সিম করে নিতে হয়।এয়ারটেল ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম সব নিয়ে ৩০০-৪০০ পড়তে পারে।আপনি যদি Sr এর সাথে ভালো সম্পর্করাখতে পারেন তাহলে খুব কম খরচ এয়ারটেল ইজিলোড সিম নিতে পারবেন।
কিভাবে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করবেন
ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলা জরুরি। এই নীতিগুলির সবসময় আপনাকে অনুসরন করতে হবে।ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা শুরু করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয় মেনে চলতে হবেঃ
আপনার ব্যবসা সেট আপ করার জন্য একটি উপযুক্ত অবস্থান বেছে নিতে হবে।আপনার দোকানের একটি ট্রেড লাইসেন্স করে নিতে হবে ।সকল অপারেটর ফ্লেক্সিলোড সিম রাখতে ।সপ্তাহে ৩ দিন করে SR আপনার দোকানে আসবে, আপনাকে বাধ্যতামূলক ১০০ টাকার বেশি ব্যালেন্স লোড করতে হবে।
ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায় কত কমিশন দেয়।ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ার লাভ কত?
ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড ব্যবসার লাভের হিসাব করলে আপনাকে প্রতি ১০০০ টাকা রিচার্জ করলে আপনি ২৭-৩০ টাকা কমিশন পাবেন।তবে এখানে আরও কথা আছে আপনি যদি পওয়ারলোড দেন তাহলে আরও বাড়তি কমিশন পাবেন।আর আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড অ্যাপ ব্যবহার করতে তাহলে আপনি এক মোবাইল দিয়ে সকল লোড দিতে পারবেন।তা না হলে আপনাকে ২-৩ বাটুন মোবাইল সাথে রাখ তে হবে।অ্যাপ ব্যবহারের আরও সুবিধা হল আপনি আরও অনেক অফার পাবেন।যা দিয়ে আপনি আরও কমিশন পাবেন।
পরিশেষ
আশা করি আজকের পোস্টে আপানাদের ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত ? । ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে ? তা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।তাছাড়া ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড সম্পর্কে সকল তথ্য আপনদের সাথে শেয়ার করেছি।এমন আরও উপকারী পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।