রাসেল ভাইপার সাপ ।রাসেল ভাইপার সাপে কামর দিলে কি করবেন। রাসেল ভাইপার সাপের এন্টিভেনম এর দাম – বর্তমানে বাংলাদেশে রাসেল ভাইপার সাপের আতঙ্ক চলছে । প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে মৃত্যুবরন করছে । চন্দ্রবোড়া বা রাসেল’স ভাইপার ভারতীয় উপমহাদেশের প্রধান চারটি বিষধর সাপের একটি অন্যতম । এটির বিষ অত্যান্ত বিষাক্ত ও বিপজ্জনক। ১৯৭৬ প্যাট্রিক রাসেল সর্ব প্রথম এই সাপ নিয়ে বই প্রকাশ করে। তিনি তার সেই বইটে রাসেল’স ভাইপার সাপের সকল কিছু বর্ণনা করে।তার নাম অনুসরে সাপ টির নাম রাখা হয় রাসেল ভাইপার ।
রাসেল ভাইপার সাপের এন্টিভেনম এর দাম
বর্তমানে রাসেল’স ভাইপার সাপ নিয়ে দেশে সাধারণ মানুষের মধ্য বিভিন্ন বিভ্রান্তি, উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করেছে । যা আমারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পাই । রাসেল ভাইপার এন্টিভেনম এর দাম জানতে চায়ে অনেকে অনলাইনে খোঁজ করে থাকেন।রাসেল ভাইপার সাপের কামর খাওয়ার পর তাৎক্ষণিক রাসেল ভাইপার এন্টিভেনম ডোজ দিলে এর বিষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । বাংলাদেশে সাপের কামড়ের এন্টিভেনম পাওয়া যায় । তবে রাসেল ভাইপার এন্টিভেনম সব স্থানে এখনো পাওয়া যায় না । তবে সরকার খুব তাড়াতাড়ি সকল স্থানে রাসেল ভাইপারের এন্টিভেনম পৌঁছে দিবে । সরকারি হাসপাতালে রাসেল ভাইপার এন্টিভেনম সমপূর্ণ ফ্রী তে দেয়া হবে । তবে বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে রাসেল ভাইপার এন্টিভেনম এর দাম ৪০০০০-৫০০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে । রাসেল ভাইপারের কামড়ের চিকিৎসার জন্য সাধারণত চার থেকে পাঁচটি ডোজ প্রয়োজন ।
স্থান | রাসেল ভাইপার সাপের এন্টিভেনম এর দাম |
সরকারি | সরকারি হাসপাতালে রাসেল ভাইপার সাপের এন্টিভেনম সম্পূর্ণ ফ্রী |
বেসরকারি হাসপাতাল | বেসরকারি হাসপাতালে রাসেল ভাইপার সাপের এন্টিভেনম এর দাম ৪০০০০-৫০০০০ হাজার টাকা |
রাসেল ভাইপার কামড়ের প্রভাব
রাসেল ভাইপার সাপে কামড়ে তীব্র ব্যথা ও দ্রুত ফোলাভাব হয়। বিষের কারনে রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি পায় এবং নাক, মাড়ি, এমনকি মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। রাসেল ভাইপার কামড়ের প্রভাবে বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, ঘাম ঝরা, পেশীতে ব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি। কিডনি ফেইলিওর, হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া, এবং মৃত্যুও হতে পারে।
রাসেল ভাইপার কামড়ের লক্ষণ
রাসেল ভাইপার কামড়ের লক্ষণ
- কামড়ের স্থানে প্রচণ্ড ব্যথা, ফোলাভাব, লালভাব।
- বমি বমি ভাব এবং বমি।
- মাথাব্যথা, প্রচুর ঘাম, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, নিম্ন রক্তচাপ।
- সাধারণ শ্বাসকষ্ট।
- দৃষ্টি ঝাপসা।
রাসেল ভাইপার সাপের ছবি
রাসেল ভাইপার সাপে কামর দিলে কি করবেন
চন্দ্রবোড়া সাপের কামড় দিলে তাৎক্ষণিক নিচের কাজ গুলো করবেনঃ
• সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
• শান্ত থাকাতে হবে এবং নড়াচড়া কমিয়ে দিতে হবে।
• কামড়ানো স্থানটি হৃদস্পন্দনের চেয়ে নিচে রাখুন সম্ভব কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখুন ।
• বরফ বা টর্নিকেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
• বিষ চুষে বের করার চেষ্টা করবেন না।
• গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করুন এবং হাসপাতালে ভর্তি করুন ।
রাসেল ভাইপার সাপের কামড় এড়াতে সতর্কতা
সাপের কামড় এড়াতে সতর্কতা:
সর্বদা সতর্ক থাকুন এবং সাপ আছে বলে পরিচিত এলাকা এড়িয়ে চলুন।যখন সাপ-প্রবণ এলাকায় থাকবেন তখন শক্ত জুতা এবং প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করুন।আপনি কোথায় পা ফেলছেন তা দেখার জন্য রাতে বাইরে হাঁটার সময় একটি টর্চলাইট সঙ্গে রাখুন।সাপ ধরা বিপজ্জনক ও প্রায়ই অবৈধ তাই সাপ
রাসেল ভাইপার সাপের এন্টিভেনম
রাসেল ভাইপার, চন্দ্রবোড়া নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষাক্ত সাপগুলির মধ্যে একটি। এই সাপের কামড় মারাত্মক বিপদ হতে পারে, যার ফলে দ্রুত চিকিৎসা জরুরি। আজেকের এই পোস্টে রাসেল ভাইপারের বিষ, এর কামড়ের লক্ষণ এবং প্রতিষেধক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
রাসেল ভাইপার বিষে তিন ধরনের টক্সিন থাকে: হেমোটক্সিন, নিউরোটক্সিন এবং সাইটোটক্সিন। হেমোটক্সিন রক্তকণিকা ভেঙ্গে রক্তপাত ঘটায়। নিউরোটক্সিন স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে, সম্ভাব্যভাবে পেশী পক্ষাঘাত, শ্বাসকষ্ট এবং এমনকি মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় । সাইটোটক্সিন টিস্যুর মারাত্মক ক্ষতি করে। এই মারাত্মক সাপের কামড়ের কার্যকরী থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এন্টিভেনম দেয়া জরুরী।
এন্টিভেনম কোথায় পাওয়া যায়
রাসেল ভাইপারের কামড়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট অ্যান্টিভেনম রয়েছে, এবং আক্রন্ত ব্যক্তির এটি গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দ্রুত চিকিৎসা ছাড়া মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। রাসেল ভাইপার কামড়ালে অবিলম্বে নিকটস্থ হাসপাতালে যাওয়া জরুরি। রাসেল ভাইপার অ্যান্টিভেনম সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে পাওয়া যায়। এটি ঢাকার জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা হায়। কিছু বেসরকারী হাসপাতালও রাসেল ভাইপার সাপের এন্টিভেনম পাওয়া যায় তবে তা বেশ ব্যয় বহুল ।
পরিশেষ
রাসেল ভাইপারের সাপের কামড় মারাত্মক হানিকারক হতে পারে, তাই অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অবশ্যই চিকিৎসা পরামর্শের জন্য একজন যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বাড়িতে সাপের কামড়ের চিকিৎসা থেকে বিরত থাকুন ।